গত ৭ মে, শনিবার মেলবোর্ন শহরের প্রাণকেন্দ্র ফেডারেশান স্কয়ারের কাছেই, বিরারাং মার নদীর পাশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সাউথ এশিয়ান ফেস্টিভ্যাল নামের এই বৈশাখী মেলা। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছেন তাদের অনুভূতি। পুরো অডিও প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের আরও অনেক কিছুর মতই করোনাকালীন বিধিনিষেধের বেড়াজালে গত দুই বছর আটকে ছিল বৈশাখী মেলার মত উৎসব এবং অন্যান্য আনন্দ-আয়োজনগুলো।
এ বছর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মানুষের জীবনযাত্রা, নিষেধাজ্ঞা ক্রমশ উঠে যাচ্ছে ছোট-বড় জনসমাগমের ওপর থেকে।
তারই ফলশ্রুতিতে পরপর দুই বছরের বিরতির পরে মেলবোর্নের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৈশাখী মেলা ‘সাউথ এশিয়ান ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজন হয়ে গেল এই মে মাসেই।
মূলত বাংলাভাষীদের অংশগ্রহণ বেশি হলেও এই মেলায় দক্ষিণ এশীয় এবং অন্যান্য ভাষাভাষীরাও স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
মেলায় অনেক দৃষ্টিনন্দন আয়োজন ছিল। নানা রকম খাবার-দাবার ও পরিধেয় কাপড়-চোপড়ের স্টল ছিল অনেক। সেই সঙ্গে ছিল শিশুদের খেলাধূলা ও আনন্দের জন্যে বেশ কয়েকটি রাইড।
মেলার একপাশে মঞ্চ তৈরি করে সেখানে শিল্পীদের গানের আয়োজন করা হয়েছিল।
মেলবোর্নের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী বনশ্রী চাকমা এবং পলাশ দত্ত।
মঞ্চে মেলবোর্নের স্থানীয় শিল্পীরা নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি করেছেন, সেই সাথে বাংলাদেশ থেকে অতিথি হয়ে আসা কন্ঠশিল্পী শাফিন আহমেদও গান পরিবেশন করেছেন।
এসবিএস বাংলা মেলায় আগত অনেকের সঙ্গে কথা বলে তাদের অনুভূতি জানার চেষ্টা করেছে।
প্রায় দুই বছর পরে মেলায় আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছিলেন সবাই, তবে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং বৃষ্টি নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল অনেকের কন্ঠে।
মেলায় অংশ নিতে এসেছেন রনী, জুবায়দুল জেকব এবং ডক্টর সানিয়াত ইসলাম।
নানারকম কাপড়-চোপড় ও খাবারের স্টলগুলো ছিল সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, বিশেষ করে মাস্টারশেফের প্রতিযোগী কিশোয়ার চৌধুরীর স্টল নিয়ে আনন্দিত ছিলেন অনেকেই।
মেলায় অংশগ্রহণ করতে আসা তোয়া সাইয়ারা ইসলাম ও মাহিম।
এ বছরই বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসা কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষার্থীদের মেলায় ঘুরতে দেখা গেল। মেলবোর্নে পরিবার এবং আত্মীয়ের কাছে বেড়াতে এসে মেলায় এসেছেন, এমন কয়েকজনকেও পাওয়া গেল সেখানে।
এত চমৎকার করে এত বড় একটি মেলা সফলভাবে আয়োজন করায় আগতদের অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই মেলার আয়োজকদের।