Home International কাবুল বিমানবন্দর যেন ‘নরক গুলজার’

কাবুল বিমানবন্দর যেন ‘নরক গুলজার’

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অনুবাদক হিসেবে কাজ করা এক আফগান নাগরিক জানিয়েছেন দেশ ছাড়ার অপেক্ষায় নরকে অবস্থান করছেন তিনি। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, অনুবাদক হিসেবে কাজ করা তার অন্য সহকর্মীরা ইতোমধ্যেই তালেবানের হুঁশিয়ারি পেয়েছেন। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ওই ব্যক্তি কাবুল বিমানবন্দরে স্ত্রী ও চার মাসের সন্তান নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন।

তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ওই অনুবাদকের মতো হাজার হাজার মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে বিমানে চড়ার অপেক্ষা করছেন। ৩১ আগস্টের মধ্যে সকলকে সরিয়ে নিতে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাজ্য।

নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অনুবাদক বলেন, ‘১৪, ১৫ ঘণ্টা ধরে পানি ও খাবার ছাড়া অপেক্ষা করছি। এখানে বহু মানুষ আছে, হাজার হাজার মানুষ।’ তিনি বলেন, ‘কাউকে জিজ্ঞেস করবো তারও উপায় নেই। আমি আসলে ব্রিটিশ দূতাবাসের কাউকে খোঁজার চেষ্টা করছি, শুধু জানতে চাই আমাদের সঙ্গে কী হচ্ছে। ইমেইলের পর ইমেইল পাঠাচ্ছি আর বলছি দয়া করে সাহায্য করুন। আর তারা কেবল বলছে, আমাদের অপেক্ষা করা উচিত।’

ওই অনুবাদক বলেন, ‘আমার কয়েক জন বন্ধু ইতোমধ্যে বেশ কিছু ইস্যুর মুখোমুখি হয়েছে, যেমন তাদের হুঁশিয়ার করেছে তালেবান। আমাদের বাড়িতেও কয়েক জন গিয়ে আমাদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আরও শত শত অনুবাদক রয়েছে তাদের জীবন ঝুঁকিতে। আর তাদের ভবিষ্যত খুবই অনিশ্চিত। আর মনে হচ্ছে আমরা নরকে আছি।’

ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হিয়াপি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে আফগানিস্তান থেকে ৬ হাজার ৬৩১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর দিনে নয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ সরকারের হয়ে কাজ করা অনুবাদক ও অন্যদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আফগান পুনর্বাসন ও সহায়তা নীতির (এআরএপি) আওতায় তারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন। এই প্রকল্পের অধীনে আরও প্রায় দুই হাজার মানুষ কাবুলে অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান ব্রিটিশ মন্ত্রী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here