Home Bangladesh সাধারণ মানুষের প্রাণহানি নিয়ে যা বললো তালেবান

সাধারণ মানুষের প্রাণহানি নিয়ে যা বললো তালেবান

আফগানিস্তানে ক্রমেই আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে তালেবান। ক্ষমতার লড়াইয়ে নিজেদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে দলটি। গত পাঁচ দিনে ৯ প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয় তারা। সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এসব শহরে নিজেদের পতাকা উড়িয়েছে তারা। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে দলটি কাবুল তথা পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। তবে তালেবানের এমন উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দলটির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকেও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে দলটি।

বিবৃতিতে বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান। একইসঙ্গে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারি বাহিনী ও বিদেশি সেনাদের দায়ী করেছে দলটি। এ বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা। তদন্তে নিজেদের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়ারও অঙ্গীকার করেছে দলটি।

তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বলেন, তার দল কোথাও কোনও বেসামরিক নাগরিক বা তাদের বাড়িঘরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেনি। বরং অপারেশনগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করা হয়েছে। আফগানিস্তানের নাগরিকদের এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, কোনও ঘরবাড়ি কিংবা পরিবার তালেবানের দিক থেকে কোনও হুমকির সম্মুখীন হবে না। 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র জানায়, আফগানিস্তানে গত মাসে এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস জানিয়েছে, গত ১ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে আহত চার হাজার ৪২ জন চিকিৎসা নিয়েছে। ১৫টি চিকিৎসা কেন্দ্রে তারা এই চিকিৎসা নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও রেডক্রসের এমন পরিসংখ্যানের পরই বুধবার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না থাকার দাবি করে তালেবান। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস আফগানিস্তানে বিদ্যমান সহিংসতার জন্য দলটিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, আপনি যেদিকেই তাকান সেখানেই তাদের সহিংসতা ও নৃশংসতা দেখতে পাবেন। ভিডিও ফুটেজে নিজের চোখেই সব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

এদিকে তালেবান যোদ্ধারা সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে একের পর এক কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনায় চিন্তা বেড়েছে আফগান সরকারের। দলটির অগ্রযাত্রা দ্রুত অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়ালি মোহাম্মদ আহমাদজাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক কমান্ডারদের প্রতি সরকারকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাবুলকেই তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলার পরই আঞ্চলিক কমান্ডারদের শরণাপন্ন হন তিনি। সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here