মৌসুমি বায়ু এখন মিয়ানমারের দিকে আছে। দুই-এক দিনের মধ্যে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমানায় এসে পড়তে পারে। এরপরই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এলাকা দিয়ে শুরু হবে বর্ষার বৃষ্টি। এখন পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে এমনিতেই আকাশে ভারী মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
শনিবার (৫ জুন) ভোরেই রাজধানীতে একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে, দুপুরেও বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টি শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু আসার আগে পর্যন্ত থেমে থেমে এই বৃষ্টি হবে। এরপর মৌসুমি বায়ু এলে দেশের দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে নতুন করে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে। ফলে আর তাপমাত্রা বাড়ার কোনও শঙ্কা থাকবে না।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে তা মৌসুমি বায়ুর জন্য নয়, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে আকাশে মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।’ তিনি জানান, দু-একদিনের মধ্যেই মৌসুমি বায়ু মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের টেকনাফ উপকূলে পৌঁছাতে পারে। এরপর চট্টগ্রাম এলাকা দিয়ে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে পারে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইয়াংগুন পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এটি আরও এগিয়ে আসার জন্য আবহাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। এদিকে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ১০৪ মিলিমিটার। এছাড়া কুতুবদিয়ায় ৫১, ময়মনসিংহে ৪৫, তাড়াশে ৩১, নেত্রকোনায় ২০, চট্টগ্রামে ২৭, পটুয়াখালী ও রাজশাহীতে ১২, রাঙামাটিতে ১১, ডিমলায় ১০, কক্সবাজারে ৯, টাঙ্গাইলে ৬, ঈশ্বরদীতে ৪, রাজারহাট ও ভোলায় ৩, ফেনীতে ২, শ্রীমঙ্গলে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সন্দ্বীপ ও চুয়াডাঙ্গায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।