অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি নভেল করোনাভাইরাসের টিকা শিশুদের বেলায় কতটা কার্যকর তা জানতে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল চালানো হবে। চলতি মাসের শেষ দিকে ছয় থেকে ১৭ বছরের ২৪০ শিশুর শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করে গবেষকেরা শিশুদের শরীরে টিকাটির কার্যকারিতার মাত্রা যাচাই করবেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির টিকা পরীক্ষার প্রধান গবেষক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছেন, ‘বেশির ভাগ শিশু কোভিড-১৯-এর কারণে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয় না। শিশু ও তরুণদের টিকার ক্ষেত্রে সুরক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি, কেননা এতে করে তারা টিকা থেকে উপকার পেতে পারে।’
৫০টিরও বেশি দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ওপর ব্যাপকভাবে ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা উৎপাদন ও বিতরণ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
অন্যান্য ওষুধ কোম্পানিগুলোও তাদের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শিশুদের ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা করে যাচ্ছে। ষোল থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের ব্যবহারের জন্য কোভিড-১৯ এর টিকার অনুমোদন পাওয়া ফাইজার গত অক্টোবর থেকে ১২ বছর বয়সীদের ওপর ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া ১২ বছর বয়সীদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য গত ডিসেম্বরে পরীক্ষা শুরু করেছে মডার্না।
অচিরেই স্কুলগুলো নিরাপদ ঘোষণা করতে চাইছেন নীতি নির্ধারকেরা। তাই ভবিষ্যতে শিশুদের ওপর ব্যাপকভাবে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিতে এখন পরীক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।