বাংলাদেশে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ঔপনিবেশিক আমলের অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আঞ্চলিক মানবাধিকার সংগঠন দক্ষিণ এশিয়ান্স ফর হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর)। বুধবার সংগঠনটির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
চেয়ারপারসন ড. রাধিকা কোমারাস্বামী ও কো-চেয়ারপারসন ড. রেশমি গোস্বামী বিবৃতিতে সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার নিন্দা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে কারামুক্তির আগ পর্যন্ত তার নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এসএএইচআর জানতে পেরেছে রোজিনা ইসলাম গত মাসে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছিলেন।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ঔপনিবেশিক আইন অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট পর্যালোচনারও জন্য আহ্বান জানিয়েছে এসএএইচআর।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ মে) পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তার পর শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। রাতেই পুলিশ তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির দুটি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনের ৩/৫ মামলা রুজু করে। পরদিন (১৮ মে) তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত রিমান্ড আবেদন নাকচ করে বৃহস্পতিবার (২০মে) জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন। পরে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।