ইরানের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টায় শেষ হয়েছে। টানা ১৯ ঘণ্টার ভোট গ্রহণ চলে দেশ এবং বিদেশের ভোট কেন্দ্রগুলোতে। কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিয়েছেন নাগরিকরা। শনিবার (১৯ জুন) এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।
পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র আর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই অনুষ্ঠিত হলো ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। করোনার সংক্রমণের কারণে এবার বিধি নিষেধ মেনেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনগণ। ইতোমধ্যে ভোট গণনা শুরু হয়েছে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পর্যাক্রমে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিশ্বের ১০১টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী ইরানিদের জন্য ৪৫০টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়। এসব ভোটকেন্দ্রে প্রবাসী ভোটাররা বিপুল উৎসাহ নিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বলে খবরে জানিয়েছে ইরানের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি।
নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ‘আজ ইরানের জাতীয় দিন। প্রত্যেকটি ভোট গণনা হবে। কেউ বলতে পারবে না, আমার একটি ভোট দিয়ে কী হবে? মনে রাখতে হবে, সব ভোট মিলিয়েই লাখো ভোটে পরিণত হয়। বিশ্ব আজ ইরানকে দেখছে’।
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতেই দেশজুড়ে উৎসবমুখর আমেজ চলছে। কার কাঁধে যাচ্ছে ইরানের শাসন ভার। ইরানে চার প্রার্থীর মধ্যে একজন কট্টরপন্থী প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মতামত জরিপে দেখা যাচ্ছে বিচার বিভাগের প্রধান রক্ষণশীল শিয়া নেতা ইব্রাহিম রাইসি এগিয়ে রয়েছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির মিত্র রাইসিকে অনেকেই তার উত্তরসূরি হিসেবে দেখে থাকেন। ভিন্নমতালম্বী এবং কয়েকজন সংস্কারবাদী নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের দাবি,নির্বাচনে রাইসির কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বীকে রাখা হয়নি।