শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বর্ষীয়ান সংসদ সদস্য ডেভিট এমিস নিজ কার্যালয়ে ছুরিকাঘাতে খুন হওয়ায় ব্রিটেনজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও। ডেভিট এমিসের মৃত্যুর ঘটনায় ব্রিটেনের সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তার প্রশ্নটিও আবারও সামনে এসেছে।
দুই সপ্তাহ আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের তিনবারের এমপি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ রেজোয়ানা সিদ্দিকের গাড়িতে হামলা হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে টিউলিপ জানান, গাড়ির দরজার গ্লাস ভেঙে রাজনৈতিক বার্তা লেখা চিরকুট রেখে যায় হামলাকারীরা।
এর আগে, ২০১৬ সালের ১৬ জুন উত্তর ইংল্যান্ডের লেবার পার্টির এমপি জো কক্সকে- তার নির্বাচনী এলাকায় গুলি ও পরে ছুরিকাঘাত করা হয়। জো কক্সের আগে ১৯৯০ সালে কনজারভেটিভ এমপি ইয়ান গাও সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান।
অন্যদিকে, গত সেপ্টেম্বরে তিন দিনের ব্যবধানে ব্রিটেনে খুন হন তিন বাংলাদেশি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর লন্ডনে ২৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছা, স্কটল্যান্ডের এক রেষ্টুরেন্টে শেফ সেলিম উদ্দিন এবং ১৮ সেপ্টেম্বর ব্রিস্টলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন খুন হন।
এসব ঘটনা নিয়ে লন্ডনের নিউহাম বারার ডেপুটি কেবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলর ব্রিটিশ বাংলাদেশি মুজিবুর রহমান জসিমের সঙ্গে শুক্রবার বাংলা ট্রিবিউনের আলাপ হয়। তিনি বলেন, ‘নিজ কার্যালয়ে একজন এমপি খুন হবার পর স্বাভাবিকভাবেই আমরা উদ্বিগ্ন। ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য দিনটি অত্যন্ত বেদনার’।
এদিকে ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে গত ৪০ বছরের বেশি সময় বসবাস করছেন লেখক ড. রেনু লুৎফা। তিনি বলেন, ‘একজন দায়িত্বরত সিনিয়র সংসদ সদস্য নিহতের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন’।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন টিপু প্রয়াত সংসদ সদস্য ডেভিট এমিসের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তার মৃত্যুতে বাংলাদেশি কমিউনিটি একজন বন্ধু ও স্বজনকে হারালো।