Home International বাবা-মা দু’জনেই যেন সন্তানের দেখাশোনা করতে পারে সেজন্য নতুন পেইড প্যারেন্টাল লিভের...

বাবা-মা দু’জনেই যেন সন্তানের দেখাশোনা করতে পারে সেজন্য নতুন পেইড প্যারেন্টাল লিভের প্রস্তাব

প্রস্তাবিত একটি পেইড প্যারেন্টাল লিভ স্কিমে সুপারিশ করা হচ্ছে যে, যে-সব দম্পতি কর্মক্ষেত্রে লৈঙ্গিক-সাম্য বৃদ্ধি করার জন্য নিজেরা ভাগাভাগি করে সন্তানের দেখাশোনা করেন, তাদেরকে প্রণোদনা প্রদান করতে।

 

ফেডারাল সরকারের বিদ্যমান স্কিম অনুসারে, প্রাইমারি কেয়ারার ১৮ সপ্তাহের জন্য ন্যাশনাল মিনিমাম ওয়েজ পাওয়ার উপযুক্ততা লাভ করেন। প্রাইভেট সেক্টরে এটি মূলত মায়েরাই ভোগ করে থাকেন। সেকেন্ডারি কেয়ারার এক্ষেত্রে দুই সপ্তাহের জন্য সুযোগ পান। এটাকে বলা হয় “ড্যাড অ্যান্ড পার্টনার পে”।

রোহান উইলিয়ামসের মেয়ে আরির বয়স ৩ বছর। তিনি তার ফুলটাইম কেয়ারার।

তার স্ত্রী ম্যাটারনিটি লিভ বা মাতৃত্বকালীন ছুটির পরে কাজে ফিরে গেলে তিনি তখন সন্তানের দেখাশোনার ভার গ্রহণ করেন।

এই পরিবর্তনটি মোটেও সহজ ছিল না। কারণ, শিশুটির প্রথম কয়েক মাসে তিনি সময় দিতে পারেন নি।

তিনি মনে করেন, তিনি ও তার স্ত্রী শুরু থেকেই মিলেমিশে সন্তানের দেখাশোনা করতে পারতেন।

এই সিস্টেমটি পর্যালোচনা করার জন্য এখন আহ্বান জানানো হচ্ছে।

প্রফেশনাল সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক কে-পি-এম-জি প্রস্তাব দিচ্ছে, দম্পতিদেরকে, যে-কোনো একজনের জন্য সর্বোচ্চ ১৮ সপ্তাহের নিয়ম রেখে, সব মিলিয়ে ২০ সপ্তাহের পেইড প্যারেন্টাল লিভ এর প্রস্তাব দেওয়ার জন্য।

সপ্তাহের সংখ্যা প্রতি দুই বছরে দুই সপ্তাহ করে বাড়িয়ে, আগামী ছয় বছরে এটা মোট ২৬ সপ্তাহ করার কথাও তারা বলছে।

কে-পি-এম-জি এর ইকনোমিক্স অ্যান্ড ট্যাক্স সেন্টার পার্টনার গ্রান্ট ওয়ার্ডেল-জনসন বলেন, যে-সব বাব-মা কেয়ারিং ডিউটি শেয়ার করেন, তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে অতিরিক্ত কয়েক সপ্তাহ প্রদান করা যেতে পারে। এটাকে ‘ইকোয়ালিটি সাপ্লিমেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।

কিন্তু, ফেডারাল সরকার বলছে, প্যারেন্টদের মাঝে ছুটির সুযোগ ভাগাভাগি করে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা বিদ্যমান সিস্টেমে নেই বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ‘সঠিক নয়’।

এক স্টেটমেন্টে সোশাল সার্ভিসেস মিনিস্টার অ্যান রাস্টন বলেন,

“১১ জুন ২০২০-তে সরকার একটি আইন পাশ করেছে। সেখানে এই স্কিমটিতে নমনীয়তা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ছুটির সর্বশেষ ছয় সপ্তাহের পুরোটাই কিংবা এর কিছু অংশ অন্য প্যারেন্টের কাছে স্থানান্তর করার সুযোগ রাখা হয়েছে।”

কে-পি-এম-জি জোর দিচ্ছে যে, কোনো প্যারেন্টাল স্কিমই লিঙ্গ-ভিত্তিক হওয়া উচিত নয়। আর, সমলিঙ্গ দম্পতিরাও যেন এতে সুযোগ লাভ করেন।

ধারণা করা হচ্ছে যে, যখন এটা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে, তখন এই প্রোগ্রামের জন্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে বছরে ১.১ বিলিয়ন ডলার।

তবে, এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী নানা রকম অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে।

এই স্কিমের মাধ্যমে জেন্ডার পে গ্যাপও (লিঙ্গ-ভিত্তিক বেতন-ভাতার ব্যবধান) কমিয়ে আনার লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

কাউন্সিল অফ স্মল বিজনেস অফ অস্ট্রেলিয়ার সিইও, পিটার স্ট্রং বলেন, তিনি এই প্রস্তাবের সমর্থন করেন। তবে, তিনি স্মল বিজনেস মালিকদের জন্য আরও ভাল সহায়তা দেখতে চান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here