Home Bangladesh পরীমণির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

পরীমণির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির (শামসুন্নাহার স্মৃতি) বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। সর্বশেষ প্রায় চার ঘণ্টার অভিযানের পর বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বনানীর বাসা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব। তার বাসা থেকে উদ্ধার দেখানো হয়েছে— বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, নতুন মাদক এলএসডি ও আইস। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রায়ই রাতেই মাতাল হয়ে দলবেঁধে বিভিন্ন ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করতেন না। ‘সুনির্দিষ্ট’ তথ্যের ভিত্তিতেই তার বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

গত ১৪ জুন প্রথমে ফেসবুকে ও পরে সংবাদ সম্মেলন করে নাসির ইউ মাহমুদ নামের এক আবাসন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তোলার পর নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ আসতে থাকে। তার উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনের নানা দিক নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। ১৪ জুন প্রথমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন তিনি। ফেসবুকে অভিযোগ তোলার কয়েক ঘণ্টা পর ওইদিন রাতে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আবাসন ব্যবসায়ী ও ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি) নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে চিত্রনায়িকা পরীমণি বলেন, ৮ জুন তিনি ঢাকা বোট ক্লাবে গেলে সেখানে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার সঙ্গীরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছেন। পরদিন নাসির ইউ মাহমুদসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় নাসির ইউ মাহমুদসহ দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়। ১৫ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান নাসির ইউ মাহমুদ।

এর একদিন পর ১৬ জুন অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয় পরীমণির বিরুদ্ধে। তখন অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল গণমাধ্যমকে জানান, বোট ক্লাবের ঘটনার আগের দিন (৭ জুন) পরীমণি একজন সদস্যের মাধ্যমে কয়েকজনকে নিয়ে কমিউনিটি ক্লাবে আসেন। তার পোশাক ও আচার-আচরণ দেখে তাকে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়। তখন পরীমণি চিৎকার ও চেচামেচি শুরু করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫-২০টি গ্লাস ও ছাইদানী ছুঁড়ে মারেন এবং ভাঙচুর করেন।

গুলশান থানা পুলিশও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৭ জুন গভীর রাতে ৯৯৯–এর একটি কলে গুলশান থানা-পুলিশের একটি দল অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কথা-কাটাকাটির জেরে ক্লাবে গ্লাস ভাঙচুর করেছেন পরীমণি। পরে আর ওই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি।

পরীমণির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ হচ্ছে— প্রায়ই তিনি মধ্য রাতে মাতাল হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন। মানতেন না কোনও নিয়ম। নিজের খেয়াল ‍খুশি অনুযায়ী, গভীর রাতে তরুণ-তরুণীদের নিয়ে দল বেঁধে মদপান করতেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  অভিযোগ, তার কারণে প্রায়ই বিভিন্ন ক্লাবের আইন ভাঙা হতো। এক ক্লাবে কিছু সময় কাটিয়ে আর যেতেন অন্য ক্লাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here