দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছু স্থবির হয়েছিল। আমাদের অর্থনীতিও স্থবির হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে আমরা এগিয়ে গেছি। এক সময় করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের কাজ চলছিল। আমরা তখন খোঁজ নিচ্ছিলাম কোথা থেকে দ্রুত করোনার টিকা সংগ্রহ করা যায়। তখন আমরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সন্ধান পাই। আমরা বেক্সিমকোকে দ্রুত চুক্তি করতে বলি। টিকার জন্য আমরা এক হাজার কোটি টাকা আলাদা বরাদ্দ রেখেছিলাম। বলেছিলাম, যত টাকা লাগবে দেব। আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষাটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন করোনা দেখা দিল এমন আতঙ্ক দেখা দিল, মায়ের লাশ পর্যন্ত ধরল না সন্তান, বাবার লাশ ফেলে দিল। তখন স্বাস্থ্যকর্মীসহ কিছু মানুষ এগিয়ে এসেছিল। আজকের দিনে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, মানুষের জন্য মানুষ এই ভেবে তারা কাজ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, টিকা আনার জন্য আমরা যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছিলাম, আজকে যাত্রা শুরু করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য কিছু কিছু লোক থাকে, সব কিছুতে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। হয়তো তারা মানুষের জন্য কোনো কাজ করে না। কিন্তু নেতিবাচক কাজ করে। ‘কিছু ভালো লাগে না’, এই ধরনের রোগ তাদের মধ্যে আছে। তাদের সমালোচনা যত হয়েছে, তত দ্রুত কাজ করার প্রেরণা পেয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য সাহস করে যারা এগিয়ে এসেছে তাদের সাধুবাদ জানাই। আজকে টিকার যাত্রা শুরু হলো। সবাই দোয়া করবেন আল্লাহর কাছে, করোনার হাত থেকে যেন দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারি।
‘করোনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি, তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দ্রুত এই মহামারি থেকে রক্ষা পাবে আমি এই আশা ব্যক্ত করি। যাঁরা এই টিকা নেবেন ও দেবেন তাঁদের প্রশংসা করি। আমি ভ্যাকসিন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি। আমার খুব আকাঙ্ক্ষা ছিল খুব কাছে থেকে এই টিকা কার্যক্রম দেখব। কিন্তু এই করোনার কারণে আমি বন্দি। দোয়া করবেন যেন আমরা এই কার্যক্রমে সফল হতে পারি।’