Home International তরুণ অভিবাসীরা অনেক আয় করতে পারে, অস্ট্রেলিয়ার উচিত তাদের ‘নির্লজ্জভাবে’ অগ্রাধিকার দেয়া,...

তরুণ অভিবাসীরা অনেক আয় করতে পারে, অস্ট্রেলিয়ার উচিত তাদের ‘নির্লজ্জভাবে’ অগ্রাধিকার দেয়া, একটি প্রতিবেদনের পরামর্শ

গ্রাটান ইনস্টিটিউট বলেছে অস্ট্রেলিয়ার উচিত তরুণ অভিবাসীদের লক্ষ্য করে সকল পেশার জন্য এমপ্লয়ার-স্পন্সরড ভিসা দেয়া, যদি তাদের বছরে ৮০,০০০ ডলার বা তারও বেশি আয় করতে পারার সম্ভাবনা থাকে।

গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো 

  • তরুণ এবং উচ্চ আয়ের কর্মীদের জন্য স্কীলড ওয়ার্কিং ভিসা কমিয়ে সরকার বিজনেস ইনভেস্টমেন্ট এবং গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার জন্য বেশি স্থান দিচ্ছে যা ‘ভুল দিকে যাচ্ছে।’ 
  • স্কীলড মাইগ্র্যান্টরা সাধারণত তরুণ হয়ে থাকে, তারা অনেকে দক্ষ হয়ে থাকে, এবং তারা সাধারণ অস্ট্রেলিয়ানদের থেকে বেশি আয় করে থাকে। 
  • “কোভিড বিপর্যয়ের একটি ভালো দিক হলো এটি অস্ট্রেলিয়ার স্কীল মাইগ্র্যাশন কর্মসূচীকে নতুন করে সাজাতে সুযোগ করে দিয়েছে।”

অস্ট্রেলিয়ার স্কীলড মাইগ্র্যাশন সিস্টেমটি তরুণ অভিবাসীদের অনুকূলে ঢেলে সাজাতে হবে এবং বিজনেস ইনভেস্টমেন্ট ভিসা বাদ দিতে হবে, এমনটাই বলছে গ্রাটান ইন্সটিটিউট। তাদের অনুমান এই পরিবর্তনের ফলে বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে।  

সোমবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়, তরুণ এবং উচ্চ আয়ের কর্মীদের জন্য স্কীলড ওয়ার্কিং ভিসা কমিয়ে সরকার বিজনেস ইনভেস্টমেন্ট এবং গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার জন্য বেশি স্থান দিচ্ছে যা ‘ভুল দিকে যাচ্ছে।’ 

ইমিগ্র্যাশন নিয়ে নিরপেক্ষ পর্যালোচনাকারী এই প্রতিষ্ঠানটি বলেছে যে এক-চতুর্থাংশ পার্মানেন্ট ভিসাধারীদের মধ্যে বিজনেস ইনভেস্টমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্যালেন্টদের জন্য রাখা হয়েছে। 

গত সপ্তাহে সিনেট এস্টিমেট থেকে জানা যায় সরকার তাদের পরিকল্পনা স্তরে এমপ্লয়ার-স্পন্সরড ভিসা ১,৫০০টি, স্কীলড ইন্ডেপেন্ডেট ১,০০০টি এবং রিজিওনাল ক্যাটাগরি ১,৯৫০টি বাড়িয়েছে, অন্যদিকে বিজনেস ইনোভেশন এবং গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা কমিয়েছে যথাক্রমে ২,৫০০ এবং ৪,০০০টি।    

গ্রাটান ইনস্টিটিউটের ইকোনমিক পলিসি প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ব্রেন্ডান কোটস সোমবার প্রকাশিত এই রিপোর্টের সহ-লেখক। 

তিনি বলেন, “যখন আমরা আবারো বর্ডার খুলে দেব, তখন অস্ট্রেলিয়ার উচিত নির্লজ্জভাবে পার্মানেন্ট স্কীলড মাইগ্র্যান্টদের নির্বাচন করা, কারণ তাদের দীর্ঘ সময় ধরে আয় করার সম্ভাবনা আছে।” 

“স্কীলড মাইগ্র্যান্টরা সাধারণত তরুণ হয়ে থাকে, তারা অনেকে দক্ষ হয়ে থাকে, এবং তারা সাধারণ অস্ট্রেলিয়ানদের থেকে বেশি আয় করে থাকে, তাই তাদের আগমন অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক, কারণ তারা তাদের জীবনভর সরকারের কাছ থেকে যে সুবিধা বা সার্ভিস নেয় তার চেয়ে তারা বরং অনেক বেশি ট্যাক্স দেয়।” A couple with Australian flag

The Skill stream accounts for nearly half of Australia’s permanent migration program this year.Getty Images/ john Clutterbuck

বিজনেস ইনোভেশন এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ভিসাটি যারা অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসা পরিচালনা করে তাদের জন্য, কিন্তু এই ভিসার আবেদনকারীরা সাধারণত বয়স্ক হয়ে থাকে, অন্যদিকে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার আবেদনকারীদের আন্তর্জাতিকভাবে তাদের পেশায় স্বীকৃত হতে হয়।  

গ্রাটান ইনস্টিটিউট বলেছে, বিজনেস ইনোভেশন এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ভিসা বাদ দেয়া উচিত কারণ ‘ভিসার কারণ না থাকলে কম বিনিয়োগকারীই তাদের প্রকল্পে বিনিয়োগ করতো’।  

অন্যদিকে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা যেটি পাইলট প্রোগ্রাম থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে একেবারে ১১,০০০ স্থান দেয়া হয়েছে, রিপোর্টে বলা হয় সেটির উপযোগিতা এখনো ‘অপ্রমাণিত’।

যদিও রিপোর্টে আহবান জানানো হয়েছে যে এমপ্লয়ার-স্পন্সরড ভিসা সংখ্যা এবং পয়েন্টস-টেস্ট স্কীলড ওয়ার্কার ভিসা সংখ্যা বাড়াতে, সেইসাথে তারা প্রোগ্রামের কিছু পরিবর্তনেরও সুপারিশ করেছে। 

তাদের মধ্যে আছে স্কীল শর্টেজ লিস্টের বিলোপ – যেটি বিশেষ কিছু পেশা অগ্রাধিকার দেয়, এবং আয়ের সর্বনিম্ন সীমা বছরে ৫৩,৯০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০,০০০ ডলার করা।  

রিপোর্টে বলা হয় এই সব পরিবর্তন যাদের মধ্যে মূল্যবান কাজের দক্ষতা আছে তাদের লক্ষ্য করে করা উচিত এবং এতে অস্ট্রেলিয়ার বাজেট বছরে ৯ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে।  

মিঃ কোটস বলেন, “কোভিড বিপর্যয়ের একটি ভালো দিক হলো এটি অস্ট্রেলিয়ার স্কীল মাইগ্র্যাশন কর্মসূচীকে নতুন করে সাজাতে সুযোগ করে দিয়েছে।” 

এমাসের শুরুতে যে ফেডারেল বাজেট পেশ হয়েছে তাতে প্রকাশিত হয়েছে যে সরকার মনে করছে ২০২২ সাল মধ্যভাগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ থাকবে। 

২০২১-২২ সালের অভিবাসন কর্মসূচীর ভিসা সংখ্যা ১৬০,০০০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, এবং সরকার মনে করছে মহামারী-পূর্ব স্তরে অভিবাসন সংখ্যা ফিরে আসতে আরও অন্তত দু’বছর লাগবে।  

এই অর্থবছরে অস্ট্রেলিয়ার নেট ওভারসিজ মাইগ্র্যাশন অন্তত আরো ৯৬,৬০০ কম হবে, কোভিড ১৯ মহামারীর সময়ে অভিবাসনের এই ঋণাত্মক হার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here