করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বিএনপি আবারও অপপ্রচার শুরু করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনকল্যাণে নিবেদিত সরকারের যেকোনো প্রশংসনীয় উদ্যোগকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা তাদের অপরাজনীতির অংশ। তারা টিকা আসার আগেই লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের কলেরগান অবিরাম বাজিয়ে যাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বিএনপি নামক গুজব পার্টির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।’
আজ বুধবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ। ধর্মের দোহাই ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদান কাজ স্বচ্ছতা এবং সফলতার সঙ্গে শেষ হবে ইনশা আল্লাহ।
বিএনপি বিপদে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনার তীর ছুঁড়ছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের গত সাত দশকের ঐতিহ্য। তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রো-অ্যাকটিভ নয়, তাদের রাজনীতি হচ্ছে রি-অ্যাকটিভ।’
বিএনপির নেতারা চারিদিকে শুধু ধ্বংস দেখতে পায়, তারা সরকারের কোনো উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আসলে তাদের সৃষ্টিশীলতাকে গ্রাস করেছে দুর্ভেদ্য নেতিবাচকতা। কারণ বিএনপির দৃষ্টিশক্তিতে এখন শীতের ঘনকুয়াশা জমেছে।
বিএনপির রাজনীতি এখন কুয়াশাচ্ছন্ন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, তারা নিজেরাই শীতে কাতর। তিনি বলেন, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে জুলুম আর লুটপাটতন্ত্র।
পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচন সামনে। যারা নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহ করবে এবং জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহে উসকানি দিবে তাদের ভবিষ্যতে মনোনয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কোনো পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্মেলন করতে হবে। সম্মেলন করতে গিয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পকেট কমিটি কোনোভাবেই করা যাবে না, দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে সুযোগ করে দিতে হবে।
পরে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন নেতারা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।