ইভ্যালিতে অর্ডার করা পণ্য না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক ভিডিও বার্তায় কেএম ধ্রুব নামের এক শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘আমি নিজের সঙ্গে পেরে উঠছি না। যদি শুনতে পান আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি, তাহলে বুঝবেন এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ইভ্যালি।’
শনিবার (১৭ জুলাই) ‘কেএম ধ্রুব’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আট মিনিট আট সেকেন্ডের ভিডিওতে ওই শিক্ষার্থী এসব কথা বলেন। ধ্রুব শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার শুভ গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৪ মে গিফট কার্ডের জন্য ১৯ হাজার ৫০০ ও ১৪ এপ্রিল কোমল পানীয় পেপসির জন্য ৬০০ টাকা ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’র মাধ্যমে ইভ্যালিকে দেয় সে। মোট ২০ হাজার ১০০ টাকা দিলেও নির্ধারিত সময় পার হলেও পাননি অর্ডার করা পণ্য। তিনি অভিযোগ করে জানান, ইভ্যালির হেলপলাইনে যোগাযোগ করেও পাননি কোনও সহযোগিতা।
ভিডিও বার্তায় ধ্রুব বলেন, ‘আমি গত ২৪ মে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের রিও ইন্টারন্যাশনালের একটি গিফট কার্ড সাইক্লোন অফারে ক্রয় করি, যা ৩৫ কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকটিভ করে দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত হয়নি। ইভ্যালির হেলপলাইন থেকেও কোনও সহযোগিতা পাচ্ছি না। এর আগে পেপসির অর্ডার করে পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের উপার্জিত টাকায় গিফট কার্ড অর্ডার দিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। তার ওপর প্রতিনিয়ত বাসায় এবং আশপাশের মানুষের কথা শুনতে হচ্ছে। এরকম মানসিক দুরবস্থার মধ্যে আমি কখনও পড়িনি। আমি নিজের সঙ্গে পেরে উঠছি না। যদি শুনতে পান আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি, তাহলে বুঝবেন এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী ইভ্যালি।’