অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে হটিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির স্থান দখল করেছেন ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আরনল্ট। তিনি এলভিএমএইচ মোয়েট হেনেসি লুই ভুটনের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকা প্রস্তুতকারী সাময়িকী ফোর্বসের সর্বশেষ সংস্করণে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বছরের প্রথমদিকে কে বিশ্বে ধনীতম ব্যক্তি হবেন, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছিল ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের মধ্যে। তখন শীর্ষধনীদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে ছিলেন বার্নার্ড আর্নল্ট। মার্চের মাঝামাঝি থেকে এক নম্বর জায়গাটা বেজোসের দখলে চলে আসে। ওই সময় অ্যামাজনের শেয়ারের দাম বাড়ে ২০ শতাংশ। আগস্টের শুরুতে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তকমা হাতছাড়া হলো বেজোসের।
লুই ভুটন, সেফোরাসহ বিশ্বসেরা ৭০ টি ব্র্যান্ডের তত্ত্বাবধানকারী ৭২ বছর বয়সী বার্নার্ড এর সম্পদের মূল্য বর্তমানে ১৯৯.২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১৭ লাখ কোটি টাকার সমান।
ফোর্বসের তালিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আর্নল্টের পাঁচ সন্তানের মধ্যে ফ্রেডরিক, ডেলফিন, অ্যান্টোইন এবং আলেকজান্দ্রে এলভিএমএইচ সাম্রাজ্য দেখাশোনা করছেন।
শীর্ষ ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসা ৫৭ বছর বয়সী জেফ বেজোসের বর্তমান সম্পদের মূল্য ১৯৪.৯ বিলিয়ন ডলার বা সাড়ে ১৬ লাখ কোটি টাকা। এছাড়া তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান টেসলা’র ৫০ বছর বয়সী ইলন মাস্কের বর্তমান সম্পদের মূল্য ১৮৫.৫ বিলিয়ন ডলার বা সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকা।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে, এলভিএমএইচ মার্কিন গহনা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান টিফানি অ্যান্ড কো-এর সঙ্গে ১৫.৮ (১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা) বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সম্পন্ন করে, যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিলাসবহুল ব্র্যান্ড অধিগ্রহণ বলে মনে করা হয়।
ফোর্বস-এর মতে, কোভিড মহামারিতে ঘরে বসে অনলাইন কেনাকাটা জনপ্রিয়তা পাওয়ায় ২০২০ সালে আমাজনের আয় বৃদ্ধি পেয়েছিল ৩৮ শতাংশ বা ৩৮৬ বিলিয়ন ডলার। তবে গত ৩০ জুলাই অ্যামাজন জানায়, তাদের বিক্রি কমে গেছে। কারণ করোনার প্রকোপ কমায় অনেকে বাইরে বেরিয়ে কেনাকাটা করছেন।