অস্ট্রেলিয়ায় পারিবারিক ও ঘরোয়া সহিংসতার ক্ষেত্রে অভিবাসী নারীদের কী অবস্থা? কালচারাল ডাইভার্সিটি নেটওয়ার্ক ইনকর্পোরেটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. সাবরিন ফারুকি কথা বলেছেন । তিনি বলেন, কোয়ার্সিভ কন্ট্রোল যে এক ধরনের ডমেস্টিক ভায়োলেন্স সেটা মাইগ্রান্ট ও রিফিউজিদের অনেকের জন্য অনুধাবন করাটা সাধ্যের বাইরে।
ড. সাবরিন ফারুকি বলেন, অভিবাসী ও শরণার্থী পটভূমির নারীরা অনেক সময় বুঝতেই পারেন না যে, তারা ঘরোয়া ও পারিবারিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।
“তারা আসলে বুঝতেই পারেন না যে এটা ডমেস্টিক ভায়োলেন্স। এটার পিছনে কাজ করে মূলত সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো এবং জ্ঞানের অভাব। সামান্য পর্যায়ের শারীরিক সহিংসতাকে তারা অনেক সময়ে স্বাভাবিক বিষয় বলে ধরে নেন। তারা যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে হয়তো তারা এ রকমটি দেখে এসেছেন।”
“আবার সেটা যদি গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়, তখন পুলিশ কল করে। তখন সেটা তাদের কাছে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স।”
কোয়ার্সিভ কন্ট্রোল যে এক ধরনের ডমেস্টিক ভায়োলেন্স সেটা মাইগ্রান্ট ও রিফিউজিদের অনেকের জন্য অনুধাবন করাটা সাধ্যের বাইরে, বলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় এক্ষেত্রে কী ধরনের পরিষেবা ও সহায়তা পাওয়া যায়, সেটা নিয়েও তারা খুব বেশি জানেন না। তিনি বলেন,
“কী কী সার্ভিস অ্যাভেইলেবল, সেটা তারা জানে না।”
পারিবারিক সহিংসতার হার কমানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেন তিনি।
“ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের ক্ষেত্রে জ্ঞান বাড়ানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
ডমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে ড. সাবরিন ফারুকির সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আপনার পরিচিত কেউ কিংবা আপনি নিজে যদি ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হন, তাহলে যোগাযোগ করুন 1-800 RESPECT-এ, ভিজিট করুন 1800RESPECT.org.au কিংবা কল করুন ১৮০০ ৭৩৭ ৭৩২ নম্বরে।