সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতিভারী বৃষ্টি। গত কয়েকদিনের মতো আজও তাই নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের শঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘মৌসুমী বায়ু এখন অনেক সক্রিয় থাকায় ভারী বৃষ্টির সঙ্গ কোথাও কোথাও দমকা হাওয়া বইবে। এ কারণে নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। আজ ও আগামীকাল এই আবহাওয়াই বিরাজ করবে। পরশু কিছুটা কমতে পারে। এরপর আবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বর্ষার সময় এখন প্রায়ই এমন আবহাওয়া থাকবে।
এক সতর্ক বার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিকে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য এসব এলাকার বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতায় বলা হয়, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা আছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমী বায়ু অক্ষের বধিতাংশ পূর্ব-উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় আছে। এসবের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ঈশ্বরদীতে, ১৯৬ মিলিমিটার। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ছিল সীতাকুণ্ডে, ১২৫ মিলিমিটার; ফলে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। এদিকে এই সময়ে ১০০ মিলিমিটারের ওপরে বৃষ্টি হয়েছে দেশের বেশ কিছু জায়গায়। এর মধ্যে টাঙ্গাইলে ১২৫, চট্টগ্রামে ১৩৩, সীতাকুণ্ডে ১১০, টেকনাফে ১২০ এবং খেপুপাড়ায় ১৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৪৩, ময়মনসিংহে ১৬, সিলেটে ১২, রাজশাহীতে ৩০, রংপুরে ৬, খুলনায় ৫৭ এবং বরিশালে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।