Home Health ২৪ ঘণ্টায় করোনার টিকা নিয়েছেন ৪৬,৫০৯ জন

২৪ ঘণ্টায় করোনার টিকা নিয়েছেন ৪৬,৫০৯ জন

দেশব্যাপী টিকাদান শুরুর দ্বিতীয় দিনে সারা দেশে ৪৬ হাজার ৫০৯ জন টিকা গ্রহণ করেছেন।

এ ছাড়া আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত টিকাদানের জন্য অনলাইনে সর্বমোট নিবন্ধন করেছেন পাঁচ লাখ ১২ হাজার পাঁচজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকাদান শুরু হওয়ার গত দুই দিনে ৭৭ হাজার ৬৬৯ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৭০০ জন পুরুষ এবং ১৭ হাজার ৯৬৯ জন নারী টিকা গ্রহণ করেছেন।

এর আগে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গতকাল রোববার সকালে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকাদানের প্রথম দিন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেওয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গতকাল রোববার টিকাদান সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।

বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

ভারতের উপহার হিসেবে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার ২০ লাখ ডোজ গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এরপর ২৫ জানুয়ারি সেরাম থেকে বাংলাদেশের ক্রয় করা কোভিশিল্ডের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ নিরাপদে ঢাকায় আসে।

গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়।

কী পরিমাণ টিকা দেওয়া হবে

গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর (টাঙ্গাইল-৬) এক প্রশ্নের জবাবে অগ্রাধিকারী ভিত্তিতে কাদের কী পরিমাণ কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হবে তা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভ্যাক্স সুবিধা থেকে বাংলাদেশ তার জনসংখ্যার তিন কোটি ৪০ লাখ লোকের বা ২০ শতাংশের জন্য ছয় কোটি ৮০ লাখ টিকা পাবে। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গ্রুপের (এসএজিই) নির্দেশিকা এবং দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে টিকা গ্রহণকারী অগ্রাধিকার গোষ্ঠীগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও জানান, প্রথম পর্যায়ে টিকা বিতরণে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের মোট এক কোটি ৫০ লাখ লোক (জনসংখ্যার আট দশমিক ৮৬ শতাংশ) দুই ডোজ টিকা পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই টিকাগুলো দেশের ৬৪ জেলা ইপিআই স্টোর এবং ৪৮৩টি ইপিআই স্টোরে সংরক্ষণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here