পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যাদের কাছে টিকা আছে, তারা সবাই বলে দেবে। কিন্তু কখন দেবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলে না।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) অনুদান হিসেবে প্যালেস্টাইনকে মেডিক্যাল সামগ্রী দেওয়ার একটি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকে বলে আসছেন, ‘টিকা যেন সর্বজনীন পণ্য হয় এবং সব দেশের লোকের বৈষম্যহীনভাবে পাওয়া উচিত।’ এ বিষয়ে আমরা জোরালো বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯.৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে। মাত্র ০.৩ শতাংশ গরিব দেশগুলোর কাছে। এজন্য হাহাকার এবং কেউ পাচ্ছে না।’’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি রিপোর্ট আছে, অস্ট্রেলিয়ার মোট লোক সংখ্যা হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন। তারা টিকা সংগ্রহ করেছে ৯৩.৮ মিলিয়ন। আমরা তাদের কাছে চেয়েছি। তাদের টিকা দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা বলেছে দেবে। সবাই বলে দেবে, কিন্তু হাতে আসছে না।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে টিকার জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকা না পেলে তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না। আমরা জরুরি ভিত্তিতে তাদের কাছে টিকা চেয়েছি।’
ইতোমধ্যে এক হাজার ৬৫৪ জন বাংলাদেশি-আমেরিকান হোয়াইট হাউজে একটি পিটিশন করেছেন বাংলাদেশের সমস্যার বিষয়ে। আমেরিকানদের বক্তব্য হলো—বাংলাদেশে এই রোগের প্রভাব কম এবং সেজন্য তারা আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে আমাদের টিকা দেবে, তবে কবে দেবে সেটি এখনও বলেনি। তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অন্যান্য টিকা কোভ্যাক্সের অধীনে দেবে।’