পরিকল্পনা মোতাবেক সরবরাহ না করায় করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে টিকা রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপের হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বিবিসির খবরে একথা জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, উৎপাদনে সমস্যার কারণে সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাচ্ছে না। কিন্তু ধীরগতির সমালোচনা করে আসছে ইইউ। সব সদস্য দেশের জন্য টিকা কেনার কাজটি করছে ২৭টি উন্নত দেশের এই জোট।
ইইউর স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কায়রিয়াকাইডস বলেছেন, ‘ইউরোপের নাগরিকদের সুরক্ষায় যেকোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ইইউর সঙ্গে সোমবারের বৈঠকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বলে জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য কমিশনার কায়রিয়াকাইডস। তিনি জানান, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহ প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে এবং বুধবার ফের বৈঠক হবে।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে টিকা তৈরি করছে যুক্তরাজ্যেরই ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। কোম্পানিটির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় জোটকে আট কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার। এখন সরবরাহে কতটা ঘাটতি হতে পারে সে সংখ্যা প্রকাশ্যে বলেনি কোম্পানিটি।
রয়টার্সকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি ৬০ শতাংশ কমিয়ে তিন কোটি ১০ লাখে নেমে আসতে পারে।
যদিও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এখনো ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির (ইএমএ) অনুমোদন পায়নি। এ মাসের শেষ নাগাদ অনুমোদন মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
অপর টিকা উৎপাদনকারী ফাইজার-বায়োএনটেকের কারখানা ইইউ সদস্য দেশ বেলজিয়ামে। সেখানে তৈরি করা টিকা যুক্তরাজ্যে সরবরাহ করছে ফাইজার-বায়োএনটেক। টিকা রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে বেকায়দায় পড়তে পারে ইইউ থেকে সম্প্রতি বেরিয়ে যাওয়া যুক্তরাজ্য।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা সরবরাহেও ধীর গতি দেখা দিয়েছে। ইউরোপের সদস্য দেশগুলোর কয়েকটিতে এরই মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কিছু সদস্য দেশ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।